You are currently viewing ওয়েবসাইটের স্পিড বৃদ্ধি এবং লোডিং সময় কমানোর কিছু টিপস !

ওয়েবসাইটের স্পিড বৃদ্ধি এবং লোডিং সময় কমানোর কিছু টিপস !

ওয়েবসাইটের বিভিন্ন সমস্যাগুলো মধ্যে ওয়েবসাইট স্লো কাজ করা এবং লোডিং স্পিড কম হওয়া অন্যতম। বিভিন্ন কারনে এই সমস্যা গুলো হতে পারে।

১. নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহার করা
২. ওয়েবসাইট ঠিক ভাবে কনফিগার না করা
৩. ইমেজ অপটিমাইজ না করা
৪. স্ক্রিপ্ট সমস্যা
৫. ভিডিও এমবেড করা
৬. অতিরিক্ত প্লাগিনস ব্যবহার করা

কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করলে ওয়েবসাইট আগের চেয়ে ফাস্ট করে নিতে পারেন।

১। হোস্টিং প্রোভাইডার নির্বাচন

যদিও আপনার ওয়েবপেজ লোডিং স্পিড বাড়াতে হোস্টিং খুব বেশি কিছু নয়, তারপরেও অনেক কিছুই। আপনি যদি নেক্সট লেভেল স্পিড চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ক্লাউড হোস্টিং ব্যবহার করতে রেকমেন্ড করব।

পেজ কত দ্রুত লোড হবে সেটা নির্ভর করে আপনার পেজটি কত ভালো অপটিমাইজ করেছেন তার উপরে, কিন্তু আপনার সাইট কতদ্রুত পিং করা যাবে সেটা নির্ভর করে আপনার হোস্টিং প্রোভাইডারের ওপর।

সাইটের রেসপন্স টাইম নির্ভর করে ওয়েব সার্ভারের উপরে। এখন সকলের নিশ্চয় ক্লাউডে টাকা ইনভেস্ট করার মতো সামর্থ্য নেই, কেননা ক্লাউড মোটেও সস্তা নয়। শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করেও ভালো পেজ স্পিড পাওয়া যেতে পারে। তবে ব্যাপারটি হচ্ছে অনেক শেয়ার্ড হোস্টিং কোম্পানি প্যাকেজ খরচ কমাতে একই সার্ভারে অনেক ওয়েবসাইট হোস্ট করে,
ফলে সার্ভার অনেক স্লো রেসপন্স প্রদান করে। আপনার হোস্টিং সার্ভার পারফরম্যান্স চেক করে নিন , যদি খারাপ পারফরম্যান্স হয় তাহলে সেইটা হোস্টিং প্রোভাইডার কে জানান।
হোস্টিং পারফরম্যান্স চেক : https://www.bitcatcha.com

২।  ওয়েবসাইট স্পিড অপটিমাইজেশন

ওয়েবপেজ স্পিড টেস্ট টুলগুলোতে কোনো ওয়েবসাইট স্পিড টেস্ট করার পর কিছু ওয়েবসাইট স্পিড অপটিমাইজেশন টিপস রেকমেন্ড করা হয়, যেগুলো বেশিরভাগই কনফিউজিং ব্যাপার, অনেক ব্যবহারকারীর কাছে। একটি পেজ ফাস্ট লোড হওয়ার পেছনে অনেকগুলো ব্যাপার কাজ করতে পারে, এর মধ্যে কোনো একটির ত্রূটি হলে পেজ স্লো লোড হতে পারে। প্রথমত, আপনার ওয়েব হোস্টিং প্রভাইডার ফ্যাক্ট করে, তারপরে আপনার ওয়েবপেজগুলো কতটা অপটিমাইজেশন করা হয়েছে সেটা ম্যাটার করে, এরপরে ক্লায়েন্ট ইন্টারনেট কানেকশন কতটা ফাস্ট সেটা নির্ভর করে, তারপরে ক্লায়েন্ট ডিভাইজটির স্পেসিফিকেশনও ম্যাটার করে। এদের মধ্যে কোনো একটিতে সমস্যা থাকলে ওয়েবপেজ লোড নিতে দেরি হবে।

৩। নিয়মিত সাইট স্পিড টেস্ট করুন

ফাস্ট সার্ভার আপনার সাইটটি দ্রুত কানেক্ট করতে সাহায্য করবে, কিন্তু পেজটি লোড নিতে কত সময় লাগতে পারে সেটা নির্ভর করবে আপনার ওয়েবপেজের ওপরে। একটি ফুল ফাংশনাল ওয়েবসাইট অত্যন্ত ফাস্ট তৈরি করা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার । একটি কমার্শিয়াল সাইটে অনেক অ্যাডস থাকে, বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাগইন ইউজ করা হয়, বিভিন্ন উইজেট ব্যবহার করা হয়, যেগুলোকে বাদ দেওয়া যায় না, কিন্তু এগুলোই বেশিরভাগ স্পিড স্লো করে থাকে। ফাস্ট পেজের অনেক গুণ রয়েছে, মাথায় রাখতে হবে সকলেই হাই স্পিড ব্রডব্যান্ড ইউজ করে না, তাই স্লো ইন্টারনেট কানেকশনের যাতে আপনার সাইট ভালো পারফরম করে সেটা লক্ষণীয়। ইন্টারনেটে বর্তমানে অর্ধেকেরও বেশি ট্র্যাফিক মোবাইল ডিভাইজগুলো থেকে আসে (এই সংখ্যা আরো বাড়ছে), আর ফাস্ট পেজ লোডিং হলে মোবাইল ইউজারগুলোকে ধরে রাখতে পারবেন, না হলে পেজ লোডিং এর জ্বালায় অনেকেই সাইট ত্যাগ করতে বাধ্য হবে।

ওয়েবসাইট স্পিড টেস্ট করার জন্য আরো টুলস রয়েছে সেগুলো প্রত্যেকেই একে একে ইউজ করে দেখতে পারেন। যদিও একটি টুল থেকে অন্য আরেকটি টুলের রেজাল্ট আলাদা হতে পারে, কিন্তু আপনি মোটামুটি ভালো ধারণা অর্জন করতে পারবেন। পেজ স্পিড নামক গুগলের অফিশিয়াল টুলটি চেক করতে পারেন, যেখানে মোবাইল ও ডেক্সটপ থেকে আপনার সাইট কি রকম আচরণ করছে তা পরিমাপ করতে পারবেন।

৪। পেজ সাইজ কমাতে হবে

আপনার সাইট যদি টেক্সটনির্ভর হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে এইচটিএমএল সাইজ কমানোর কিছু নেই, তবে বিশেষ কমপ্রেশন ম্যাথড ইউজ করে এর সাইজ কিছুটা কমিয়ে ইউজার ব্রাউজারে ডেলিভারি করা যেতে পারে। সার্ভার থেকে HTTPS file মডিফাই করে gzip/deflate compression এনাবল করা যেতে পারে, যদি ওয়ার্ডপ্রেস ইউজ করেন সেক্ষেত্রে ক্যাশিং প্লাগিন থেকেও এই কমপ্রেশন এনাবল করা যায়।

অথবা অনেক হোস্টিং প্রভাইডার আগে থেকেই তাদের সার্ভারে এই কমপ্রেশন ম্যাথড এনাবল করে রাখে। ওয়েবপেজের ফাইল সংখ্যা কমাতে হবে, যত কম ফাইল তত কম DNS Lookup এবং ততদ্রুত ওয়েবপেজ! একটি ফুল ওয়েবসাইটে না চাইলেও অনেক ফিচার রাখতে হয়, বিশেষ করে অ্যাডস যেটা না থাকলে ওয়েবসাইটটি রান করে রাখা সম্ভব হবে না। তবে এ অ্যাডস এবং আলাদা মার্কেটিং প্লাগইনগুলো আলাদা আলাদা সার্ভার ব্যবহার করে ফলে ব্রাউজারকে আলাদা আলাদা রিকোয়েস্ট পাঠাতে হয়, এতে পেজ লোডিং টাইম বেড়ে যায়।

৫। ব্রাউজার ক্যাশ ব্যবহার করুন

আপনার ওয়েবসাইটটি যদি অত্যন্ত বেশি ডাইন্যামিক হয়ে থাকে, সেটা আলাদা ব্যাপার তারপরেও ব্রাউজার ক্যাশ টেকনিক ইউজ করতে হবে। যখন ব্রাউজার ক্যাশ সিস্টেম ইউজ করা হবে ব্রাউজার স্ট্যাটিক কন্টেন্টগুলো সার্ভারের কাছে বারবার রিকোয়েস্ট না করে লোকাল সিস্টেম থেকে লোড করবে।

এতে করে প্রথমত, সাইট যেমন ফাস্ট লোড নেবে; দ্বিতীয়ত সার্ভার ব্যান্ডউইথ বাঁচানো সম্ভব হবে। অনেক স্ট্যাটিক ফাইল, যেমন আপনার সাইটের লোগো, আইকন, সোশ্যাল মিডিয়া আইকন এগুলো প্রত্যেকটি পেজে একই থাকে, তাহলে বারবার কেন সার্ভার থেকে রিকোয়েস্ট করে লোড করা? —আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ইউজ করলে জাস্ট ক্যাশিং প্লাগইন থেকে ব্রাউজার ক্যাশ ফিচারটি এনাবল করতে পারবেন। আলাদা CMS বা APACHE SERVER এর ক্ষেত্রে এইচটিএসিসিইএসএস ফাইল মডিফাই করেও BROWSER CACHE ON করা যায়, জাস্ট GOOGLE করে দেখে নিন।

৬। স্ক্রিপ্ট অপটিমাইজ করুন

আপনার পেজে যদি অনেক এক্সটারনাল স্ক্রিপ্ট থাকে, যেমন—নতুন প্লাগইন, উইজেট, গুগল ফন্ট, ট্র্যাকিং কোড, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ইত্যাদি এতে অবশ্যই আপানার পেজটি স্লো লোড হবে। অবশ্যই আপনার ADS ড্যাশবোর্ড চেক করুন, সেখানে দেখুন কোন অ্যাড ইউনিটে কেমন ক্লিক হচ্ছে।

যে ইউনিটগুলোটে একেবারেই ক্লিক আসে না, এক্ষুণি সেগুলোকে রিমুভ করে দিন, বিশ্বাস করুন কম অ্যাডস ইউনিট আপানার পেজ স্পিড অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে।

আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। নেবুলা আইহোস্ট এর সাথেই থাকুন।

Leave a Reply